আ’লীগ মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না: ফখরুল

আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানো ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এই আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।

বুধবার বিকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। অতীতে যেভাবে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, আগামী দিনে একইভাবে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো হবে।’

কারো নাম উল্লেখ না করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওপরের নির্দেশে আজকে সব স্তব্ধ হয়ে যায়। ওপরের নির্দেশে বিচারক খালেদা জিয়ার রায় দেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। ৪৮ বছর পর আজকে আমাদের এ কথা বলতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র তাদের উন্নয়নে বিশ্বাস করে।’

এ সময় তিনি অর্থনৈতিক বৈষম্য, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংসসহ রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত। মেরুদণ্ডহীন সরকার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত এনআরসির, সিএএ’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করছে। সরকার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।’

এ ছাড়া বিজয় দিবসের আলোচনার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি শপথ নিতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান মোশাররফ।

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা ভারতকে শুত্রু মনে করি না। কিন্তু তাদের কথাবার্তায় মনে হয় তারা আমাদের শুত্রু মনে করে। তারা বাংলাদেশের শুত্রু শুধু আওয়ামী লীগের বন্ধু।’

এনআরসির প্রদক্ষেপ আর মিয়ানমারের পদক্ষেপ একই মন্তব্য করে গয়েশ্বর এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, অন্য দেশের জাতীয় স্বার্থে আঘাত লাগলে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চাপা দেওয়া যাবে না। আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, কেন আজকে সেই গণতন্ত্র অপসারিত হয়ে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে তা এ সরকারকে জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, ১০ বছরে দেশের মানুষের কোনো বিনিয়োগ হয়নি। উচ্চ সুদে বিদেশীদের বিনিয়োগ হয়ে। শুধু ফ্লাইওভার হয়েছে। দেশের মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি।

খালেদা জিয়ার কারারুদ্ধ সম্পর্কে মঈন খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়ছে। বিএনপির সৈনিকরা বুকে রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।’

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব উন নবী খান সোহেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামছুল হক প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন